ব্যাংকে টাকা জমানোর সময় সতর্ক হোন
আচ্ছালামু আলাইকুম NEW NCP এর পক্ষ থেকে আপনাকে স্বাগতম। আজকে আমি আপনাদের মাঝে ব্যাংকে টাকা জমানোর সময় সতর্ক হোন নিয়ে আলোচনা করব।
ব্যাংকে টাকা জমানোর সময় সতর্ক হোন।
যে সব ব্যাংকে সুদের হার বেশি।
এখন বর্তমানে সুদহারের নির্দিষ্ট সীমা তুলে নেওয়া হয়েছে। ফলে বাড়তে শুরু করেছে ব্যাংকের আমানতের সুদ। কিছু কিছু ব্যাংক আছে সঞ্চয়পত্র ও বন্ডের চেয়ে বেশি সুদ দিচ্ছে। যার ফলে গ্রাহকরা বেশি সুদের আশায় অনেকেই ব্যাংকে টাকা রাখতে শুরু করেছেন।
আর কিছু কিছু ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো এখন যে পরিমাণে সুদের হার দিচ্ছে, তাতে এখনই ব্যাংকে টাকা রাখার উপযুক্ত সময় বলে মনে করছেন অতি উৎসাহি কিছু গ্রাহক। কারণ, এখন যে পরিমান সুদ দিচ্ছে পরে এত সুদ না-ও মিলতে পারে। আর এখন বেশি সুদে টাকা জমা রাখলে পরে সুদ কমে গেলেও আপনি আগের মতই বেশি সুদ পাবেন এতে কোনো পরিবর্তন হবে না । তবে মনে রাখবেন বেশি সুদ দিলেই সেই ব্যাংকে ঝাঁপিয়ে পড়বেন না। মনে রাখবেন যে ব্যাংকে টাকা রাখবেন দেখে নেবেন ব্যাংকটি ভালো, না খারাপ।
যে সব ব্যাংক সুদের হার ১২ শতাংশ।
কিছু কিছু ব্যাংক আছে যে খানে সুদের হার ১২ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। ফলে সেই ব্যাংকগুলো আবার উচ্চ সুদে আমানতও সংগ্রহ করছে। এখন কোনো গ্রাহক যদি যদি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা নির্দিষ্ট মেয়াদে জমা রাখতে চায় , তাহলে এখন বর্তমান সময়ে ব্যাংগুলো ভালো পরিমান সুদ দিচ্ছ।
৫ বছর মেয়াদে ব্যাংকে টাকা রাখলে কত টাকা সুদ দেয়।
ব্যাংক গুলো সাড়ে ৫ বছরে দ্বিগুণ টাকা ফেরত দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে টাকা জমা নিচ্ছে। আর প্রতি মাসে টাকা জমা দিলেও মেয়াদ শেষে ভালো সুদ মিলছে। কারণ একজন গ্রাহককে যত বেশি সুদ দেওয়ার প্রতিসূতি দেওয়া হবে। গ্রাহক তত বেশি ব্যাংকে আমানত রাখবে।
তবে আসল তত্ত্ব হলো, যে ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান যত দুর্বল হবে, এবং তার আমানতের সুদ তত বেশি হবে। এখন প্রশ্ন হলো সুদ বেশি দেখে টাকা রাখবেন, নাকি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের আর্থিক ভিত্তি ও ভাবমূর্তি দেখে টাকা জমা রাখবেন, সেই সিদ্ধান্ত একান্তই আপনার।
কোন ব্যাংক কত টাকা সুদ দেয়
এখন মোটামুটি সব ব্যাংকেই আমানতের সুদের হার বাড়িয়েছে। যার কারনে ব্যাংকে টাকা জমা রেখে ভালো মুনাফা পাওয়া যাচ্ছে। বিশেষ করে সংকটে থাকা ব্যাংকগুলো সঞ্চয়পত্র ও বন্ডের চেয়েও বেশি সুদ দিয়ে গ্রাহকের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহের চেষ্টা করছে।
তবে ব্যাংকগুলোর প্রকাশিত তথ্যে দেখা গেছে, কোন ব্যাংকে কত টাকা জমা রাখলে সবচেয়ে কম সময়ে দ্বিগুণ হচ্ছে।
১. এক্সিম ব্যাংকে, মাত্র ৫ বছর ৪ মাসে। এরপর সাড়ে ৫ বছরে টাকা দ্বিগুণ হচ্ছে
২. এবি, প্রিমিয়ার ও ন্যাশনাল ব্যাংকে। রাষ্ট্রমালিকানাধীন জনতা ব্যাংক টাকা রাখলে সাড়ে ৬ বছরে ও রূপালী ব্যাংকে ৬ বছর ৯ মাসে দ্বিগুণ হচ্ছে।
৩. ইউসিবিতে টাকা রাখলে দ্বিগুণ হচ্ছে ৬ বছর ৯ মাসে,
৪. এনসিসি ব্যাংকে ৬ বছর ১১ মাসে।
৫. মিউচুয়াল ব্যাংক ও ট্রাস্ট ব্যাংকে ৭ বছর তিন মাসের জন্য টাকা রাখলে দ্বিগুণ হচ্ছে।
৬. সিটি ব্যাংকে ৯ বছরের জন্য টাকা রাখলে সুদের হার দ্বিগুণ হচ্ছে ।
টাকা জমা করার আগে অবশ্যই সেই ব্যাংক সম্পর্কে খোঁজ নেবেন। এ ছাড়া ওই মাসে সুদের হার কত, তার খোঁজ নেবেন। কারণ, এখন ব্যাংকগুলো সুদের হার প্রায়ই পরিবর্তন হচ্ছে।
ব্যাংকে টাকা রাখার আগে কি কি জানতে হবে?
ব্যাংকে টাকা রাখার আগে কিছু বিষয় বিবেচনা করতে হবে। এবার সেই বিষয়গুলো দেখা যাক।
১. মেয়াদি আমানতের মেয়াদ প্রথমে যাচাই করুন।
২. সুদের হার বেশি হলে দীর্ঘমেয়াদি আমানতে বেশি লাভ পাওয়া যায় কি না। তবে ভবিষ্যতে দরকার পড়লে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে টাকা উক্তলন করতে হলে জরিমানা দিতে হবে কি না ।
৩. মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সুদের হার তুলনা করুন। এবং প্রকৃত লাভ বোঝার জন্য শুধু সুদের হার নয়, মূল্যস্ফীতির হার বিবেচনা করুন।
৪. ব্যাংকের আর্থিক অবস্থা খতিয়ে দেখুন। ব্যাংকটি স্থিতিশীল কি না,তাৎক্ষনিকভাবে ঋণ সুবিধা আছে কি না,খেলাপি ঋণের হার, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পর্যবেক্ষণে আছে কিনা অবশ্যই বিবেচনা করবেন।
আপনার আসলেই দৈনিক শিক্ষা ব্লগর একজন মূল্যবান পাঠক। ব্যাংকে টাকা জমানোর সময় সতর্ক হোন এর আর্টিকেলটি সম্পন্ন পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ ধন্যবাদ। এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনার কেমন লেগেছে তা অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না।
দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন - অন্যথায় আপনার মন্তব্য গ্রহণ করা হবে না।
comment url